1. live@www.dainikbhangarzamin.online : দৈনিক ভাঙ্গার জমিন : দৈনিক ভাঙ্গার জমিন
  2. info@www.dainikbhangarzamin.online : দৈনিক ভাঙ্গার জমিন :
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বিশ্বের মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিন গাজায় হত্যা বন্ধ করুন প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন পাট অধিদপ্তর উপ-সচিব সৈয়দ ফারুক আহমেদের বাবা কে ! ঢাকা উত্তরা আজিমপুরে গ্যারেজের তালা কেটে অটোরিক্সা চুরি প্রবাসী বদিউজ্জান শিকদার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ৯ দিন পরে নতুন করে বিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন কমিটি গঠন ভাঙ্গা পান্তা-ইলিশ: বাংলা নববর্ষের এক অনন্য ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠিত যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় শিল্প সমিতির সমিতির মানববন্ধন ভাঙ্গা পান্তা-ইলিশ: বাংলা নববর্ষের এক অনন্য ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠিত ‎চট্টগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশনে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট ডায়ালাইসিস ফ্লোর ও কিডনি প্রতিস্থাপন থিয়েটারের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত ‎

পাট অধিদপ্তর উপ-সচিব সৈয়দ ফারুক আহমেদের বাবা কে !

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি :
বাবা মীর শওকত আলীর মৃত্যুর ১১ মাস ৫ দিন পরে কিভাবে জন্মগ্রহণ করলেন সৈয়দ ফারুক আহামেদ। বাবা কে বীর মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে সুবিধা নিতে গিয়ে বিপাকে পড়ে গেলেন সৈয়দ ফারুক আহামেদ।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও মীর শওকত আলী শহীদি খেতাব অর্জন করেছেন। গ্রাম কাশিয়ানী, জেলা- গোপালগঞ্জ, গেজেট নং ৯০৩। মীর শওকত আলীর পৈত্রিক বাড়ি ভারতবর্ষে ।১৯৭১সালের পূর্বে হিন্দু বাড়ি বিনিময় করে এদেশে কাশিয়ানীতে চলে আসেন এবং স্থানীয় মেয়ে নাসিমা বেগমকে বিবাহ করেন। নাসিমা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয় মীর শওকত আলীর সাথে। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ, যুদ্ধ শুরু হলে মীর শওকত আলী ও তার পিতা মুছা আলী ভারতবর্ষে চলে যায়। জানা যায়, ভারতে মীর শওকতের চাচাদের সাথে পৈত্রিক সম্পতি নিয়ে বিবাদ হয়। তার চাচারা মীর মুছা আলী ও মীর শওকত আলী দুজনকে মেরে ফেলে। তৎকালীন বিএনপি ছাত্রনেতা হিসেবে জিয়া হলে ,সৈয়দ ফারুক আহমেদ দাপটের শহীদ চলাফেরা করতেন বলে জানা যায় বর্তমানে সৈয়দ ফারুক আহমেদ উপ-সচিব উপ-পরিচালক পাট অধিদপ্তর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত আছেন।
সৈয়দ ফারুক আহমেদ খুবই চালাক চতুর ব্যক্তি। টাকা ও রাজনৈতিক জোর খাটিয়ে জাল-জালিয়াতি মাধ্যমে মৃত বাবাকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধার কোঠায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ নিয়েছিল। পদ্মাসেতুর জন্য ভূমি অধিদগ্রহনের সময় মাদারীপুর ভূমিঅধিগ্রহন শাখায় দায়িত্বে (এলও) থাকা কালে ঘুষের বানিজ্য করে গড়ে তুলেছিল অবৈধ ভাবে সম্পদের পাহাড়। জড়িয়েছে বহু নারীকেলেঙ্কারী ও বিবাহের সঙ্গে । ২২তম বিসিএস ক্যাডারের ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ টাকার জোর খাটিয়ে পিতার , মাতার, ও নিজ নামে সড়ক ও গেট তৈরীসহ নানা অনিয়ম করেই চলেছেন।
একজন বিসিএস ক্যাডার অমুক্তিযোদ্ধার সন্তানের এমন কর্মকান্ডের জন্য এলাকাবাসী ও প্রকৃত মৃক্তিযোদ্ধারা ভেতরে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। কেউ কিছু বললে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিবেন বলে ভয় ভীতি দেখান। সৈয়দ ফারুক আহাম্মদ তার বাবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নামে সড়ক ও গেটের নামকরন পরিবর্তন এবং মুক্তিযোদ্ধার গেজেট থেকে নাম বাতিলের জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় সাবেক প্রধান মন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিয়ষক মন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন মুজিবুর রহমান মোল্লা এবং এ বিষয়ে তিনি হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন যার মামলা
নং ৬৯৭৩/২১ইং এবং গত ২ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নিকট মীর শওকত আলীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বাতিল প্রসঙ্গে অভিযোগ করেন সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কল্যাণ ট্রাস্ট ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সরজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জের কাছে পাঠান। কিন্তু ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখনো তদন্তের প্রতিবেদন কেন দেওয়া হলো না! মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট কেন জবাব চাইলেন না! কি এর রহস্য! গণমাধ্যম কর্মীরা এই বিষয়ে কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে কেউ তা সঠিক জবাব দিতে পারেনি। এর সাথে তাহলে কি তারাও জড়িত! পুনরায় ৯ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে বিষয়-তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ জন্য পাঠান । গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে, কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিবেদনে লেখা আছে নাসিমা বেগম ভাতা নিচ্ছেন কিন্তু ৫ নং কাশিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৬ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে নাসিমা বেগম মৃত্যুবরণ করেন বলে জানা যায় সৈয়দ ফারুক আহাম্মদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে ১৩/৩/২০২৪ ইং তারিখে মৃত মীর শওকত আলীর ভাতা নিজ নামে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন । সেখানেও আবেদন ফরমটি অসম্পূর্ণ লেখা। মীর শওকত আলীকে বলা হয়েছে পেশা শিক্ষক কিন্তু সে কোথায় শিক্ষকতা করেছে সে সার্টিফিকেটই কোথায়? কেনোই বা নেয়নি কল্যাণ ট্রাস্ট ,ফর্মটি কেন অসম্পূর্ণ ? মীর শওকত আলী শহীদ হয়েছে শহীদি সার্টিফিকেট, মৃত্যু সনদ কবে মৃত্যুবরণ করলেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কারো জানা নেই মীর শওকত আলীর স্ত্রী ১২/১০/১৯৯৭ ইং তারিখে ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন । উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ফাইলটি গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরজমিনে তদন্ত করানো হয় এবং প্রতিবেদন মতে জানা যায় শহীদ মীর শওকত আলী ১৬/৯/১৯৭১ ইং সালে যশোর জেলার মহেশপুরে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। সৈয়দ ফারুক আহমেদের জন্ম ২১ আগস্ট ১৯৭২ ইং সালে কিন্তু তার জন্ম এবং তার বাবার মৃত্যু সময়ের মধ্যে পার্থক্য ১১মাস ৫ দিন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাবার মৃত্যুর ১১ মাস ৫ দিন পরে কিভাবে তার জন্ম হয়। তাহলে কে তার প্রকৃত বাবা ? একাধিকবার তার অফিসে গণমাধ্যম কর্মীরা এই বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য অফিসে গেলে থেকেও সে না করে দেন অফিসে নেই ফোন করলে বলেন কি বিষয়ে কথা বলবেন যখন ওনার বাবার বিষয়ে কথা হন তখন ফোনটি কেটে দেন এবং নাম্বার ব্লক করে দেন একাধিকবার যাওয়ার পরে ভাগ্যক্রমে উনার সাথে দেখা মিলে! উনার বাবার বিষয়ে কথা বলে উনি কোন বিষয়ে উত্তর দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। এতেও প্রমাণিত হয়ে যায় ঘটনাটি সত্য ২০২১ সালে একাধিক জাতীয় পত্রিকা দৈনিক শহীদ ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এই বিষয়ে জানতে চাইলে কিছুই বলবেন না বলে এড়িয়ে যান। ১৬ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে মোঃ মাসুম পারভেজ গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নিকট দরখাস্ত দেন। বিষয়- মীর শওকত আলীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বাতিল ও রাষ্ট্রীয় অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে। বিষয়টি আমলে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আগামী ৮ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে সকাল ১১ ঘটিকার সময় শুনানিতে হাজির হওয়ার নোটিশ প্রেরণ করেন ,
মীর শওকত আলীর মিথ্যা সনদ দেওয়ার সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদেরকে চিহ্নিত ,রাষ্ট্রের টাকা ফেরত আনতে হবে এবং সৈয়দ ফারুক আহম্মেদের কোঠায় চাকরি বাতিল করে আইনের আওতায় আনতে হবে এটাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও গণমাধ্যম কর্মীদের দাবি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট